আজ প্রায় তিন বছর পর শ্রাবণীকে মেট্রোতে দেখে অর্কর যেন heartbeat বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাজীব চক স্টেশনে যখন ট্রেনটা দাঁড়ালো, দরজা খুলতেই ভিড় ঠেলে শ্রাবণী যখন ভেতরে এলো, অর্ক বিশ্বাসই করতে পারছিল না। এই সেই শ্রাবণী, যার জন্য একটা সময় অর্কর জীবনটা totally অন্যরকম ছিল। আজ তাকে দেখে মনে হলো টাইমটা যেন pause হয়ে গেছে। শ্রাবণী হয়তো হেসেছিল, কিন্তু অর্ক তখন যেন অন্য জগতে। তাদের ব্রেকআপের সব মেমরিজ যেন ফ্ল্যাশব্যাকের মতো মাথায় ঘুরছিল।
অর্ক’র অতীত
অর্ক আর শ্রাবণীর প্রেমটা শুরু হয়েছিল বেশ filmy স্টাইলে। ২০১৯ সালের এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়, একটা cool কফি শপের এক কোণে শ্রাবণী বসেছিল, হাতে একটা বই। বইয়ের পাতায় lost শ্রাবণীকে দেখে অর্কর মনটা যেন * instantly* ভালো হয়ে গিয়েছিল। অর্ক তখন দিল্লিতে job শুরু করেছে, ভীষণ lonely ফিল করত। শ্রাবণীর সাথে introduction হতেই সেই একাকীত্বটা যেন vanished হয়ে গেল। প্রথমে কফি dates, তারপর রেগুলার দেখা করা, আর এর মধ্যেই দু’জনের মধ্যে একটা গভীর connect তৈরি হলো।
তাদের love story ছিল স্বপ্নের মতো। শ্রাবণী ছিল খুব lively, একটু crazy টাইপের, আর অর্ক ছিল শান্ত, mature। দু’জন যেন একে অপরের perfect match। দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে শ্রাবণী যখন ইন্টার্নশিপের জন্য দিল্লিতে এসেছিল, অর্কই ছিল তার বেস্ট ফ্রেন্ড, গাইড। দু’জন মিলে দিল্লির সব hotspots, লালকেল্লা, কুতুব মিনার ঘুরে বেড়াতো। প্রতিটা moment অর্কর মনে আজও একদম fresh।
তাদের রিলেশনশিপটা ছিল খুব open। হাসি-মজা, ছোটখাটো fights, আর প্রচুর ভালোবাসা। তারা ফিউচার নিয়ে অনেক plans করত। একসাথে একটা ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন, যেখানে তাদের একটা new beginning হবে। শ্রাবণীর রান্নার হাত ছিল অসাধারণ। অর্কর ফেভারিট ছিল শ্রাবণীর হাতের চিকেন কষা। প্রতিটা weekend কাটত মুভি দেখে বা নতুন restaurant ট্রাই করে।
কিন্তু সেই relationship-এ হঠাৎ করেই একটা problem এলো। শ্রাবণীর ফ্যামিলি চাইছিল সে তাড়াতাড়ি settle করুক, বিয়ে করুক। শ্রাবণীও তখন career-এর জন্য খুব stressed ছিল। দু’জনের মধ্যে একটা gap তৈরি হতে শুরু করল। অর্ক তার workload নিয়ে ব্যস্ত থাকত, আর শ্রাবণী তার ফ্যামিলির প্রেসার সামলাত। Communication কমে গেল। ছোট ছোট issues নিয়ে arguments শুরু হলো। একসময় যে ভালোবাসা ছিল তাদের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ treasure, সেটা যেন আস্তে আস্তে fade হতে শুরু করল।
২০২২ সালের বসন্তে, তাদের breakup হয়ে গেল। সেদিন শ্রাবণীর বিদায়। অর্ক তাকে বোঝানোর effort করেছিল, কিন্তু শ্রাবণী তখন firm। চোখে জল নিয়ে শ্রাবণী তার ফ্যামিলির কাছে ফিরে গিয়েছিল। অর্ক তাকে আটকাতে পারেনি। সেই দিন থেকে অর্ক যেন totally পাল্টে গিয়েছিল। কাজ, ঘুম আর loneliness-এ মোড়া দিন। শ্রাবণীর সাথে সব contact বন্ধ। অর্ক নিজেকে বোঝাতো যে শ্রাবণীর প্রতি তার আর কোনো feeling নেই, কিন্তু আজ শ্রাবণীকে মেট্রোতে দেখে অর্কের সেই illusion ভেঙে গেল।
বর্তমান মুহূর্ত:
অর্ক তখনও মেট্রোতে দাঁড়িয়ে। শ্রাবণী ততক্ষণে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। একটা split second-এর জন্য যেন সব থেমে গেল। শ্রাবণী হেসে বলল, “অনেক দিন পর তোমায় দেখলাম।” অর্ক কী বলবে বুঝতে পারছিল না। মুখ দিয়ে শুধু বেরোল, “হ্যাঁ, অনেক দিন পর।” তাদের মাঝে একটা awkward silence নামল। অর্ক তার কাজ নিয়ে casual কথা বলতে শুরু করল, শ্রাবণীও তার নতুন job নিয়ে দু-একটা কথা বলল। কিন্তু এই conversation যেন তাদের পুরোনো chemistry-কে touch করতে পারছিল না।
শ্রাবণী যখন নামার জন্য রেডি হচ্ছিল, তখন সে আবার হেসে বলল, “দেখা হয়ে ভালো লাগল।” অর্কও উত্তর দিল, “আমারও ভালো লাগল।” কিন্তু অর্কের মনে অনেক কথা থাকলেও সে যেন speechless হয়ে গিয়েছিল। শ্রাবণী নেমে যেতেই অর্ক যেন ভাবনার সাগরে ডুব দিল। নিজের destination station কখন পেরিয়ে গেল, সে খেয়ালও ছিল না। তিন বছর আগে ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের sweet memories যেন নতুন করে তার মনে storm তুলেছিল।
শ্রাবণী’র অতীত
শ্রাবণীও মনে মনে হাসছিল। আজ অর্ককে মেট্রোতে দেখে তার পুরোনো memories গুলো আবার alive হয়ে উঠেছিল। অর্ক, তার প্রথম true love। শ্রাবণীও ইন্টার্নশিপের জন্য দিল্লিতে এসেছিল। অর্কের সাথে দেখা হয়েছিল সেই কফি শপে। সেই বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যাটা শ্রাবণীর আজও clear মনে আছে। অর্ক ছিল তার জীবনের সবচেয়ে শান্ত আর reliable মানুষ। অর্কের সাথে তার bond ছিল একটা safe haven-এর মতো।
শ্রাবণীও অর্কের সাথে dream দেখত। একসাথে একটা নতুন apartment, যেখানে তারা নিজেদের মতো করে live করবে। কিন্তু তার ফ্যামিলির pressure, বিয়ের জন্য তাদের তাড়া, আর career নিয়ে শ্রাবণীর নিজের uncertainty – সব মিলিয়ে রিলেশনশিপটা যেন complicated হয়ে গিয়েছিল। শ্রাবণী বুঝতে পারছিল, অর্কের সাথে থাকলে সে হয়তো তার ফ্যামিলির expectations পূরণ করতে পারবে না। সে decide করেছিল সম্পর্কটা ভেঙে দেবে।
Breakup-এর দিনটা ছিল শ্রাবণীর জীবনের সবচেয়ে tough দিন। অর্ক তাকে ধরে রাখার last attempt করেছিল, কিন্তু শ্রাবণী তখন determined। চোখে জল নিয়ে শ্রাবণী অর্ককে বিদায় জানিয়েছিল। সে ফিরে গিয়েছিল তার ফ্যামিলির কাছে। এরপর নিজের একটা new chapter শুরু করেছিল। একটা নতুন job, নতুন সিটি, নতুন মানুষ। শ্রাবণী ভেবেছিল সে হয়তো অর্ককে move on করতে পেরেছে। কিন্তু আজ অর্ককে মেট্রোতে দেখে তার সেই thought ভেঙে গেল।
আসলে, শ্রাবণীর actual reason ছিল অন্য। অর্ককে ছেড়ে আসার decision টা তার জন্য কঠিন হলেও, সে জানত যে অর্কের well-being-এর জন্য এটাই ভালো। শ্রাবণীর ছোটবেলা থেকেই একটা serious medical condition ছিল, যা ধীরে ধীরে তার জীবন কেড়ে নিচ্ছিল। সে জানত, সে অর্ককে একটা long-term commitment দিতে পারবে না। তাই, অর্কের জীবন থেকে step back করে তাকে একটা ভালো জীবন দেওয়ার chance দেওয়াই ছিল শ্রাবণীর ভালোবাসার শেষ আর সবচেয়ে বড় sacrifice। আজ যখন অর্ককে সে আবার দেখল, তখন শ্রাবণী মনে মনে ভাবল, অর্ক ভালো আছে, আর এটাই তার জন্য enough। সেই হাসিটা ছিল এক মিষ্টি বিদায়ের। সে আর চায়নি অর্ক তার এই কঠিন reality-র সাক্ষী হোক।
ছোট্ট টুইস্ট:
কিন্তু অর্ক যা জানত না, তা হলো—শ্রাবণী যখন তার ফ্যামিলির কাছে ফিরে গিয়েছিল, তখন সে তার বাবা-মাকে convince করে treatment শুরু করেছিল। আর সেই treatment একদম successful হয়েছিল। সে এখন fully recovered। আর তার দিল্লিতে ফিরে আসার main reason হলো, সে ঠিক করেছিল অর্কের সাথে আবার contact করার courage দেখাবে। মেট্রোতে তাদের এই sudden meeting টা তার কাছে ছিল একটা sign। তবে সে অর্ককে দেখতে পেয়েও instantly কিছু বলতে পারেনি। সে নামার সময় যে হেসেছিল আর বলেছিল ‘দেখা হয়ে ভালো লাগল’ – সেটা কিন্তু farewell ছিল না, সেটা ছিল promise। সে জানত, অর্ক নিশ্চয়ই তার social media দেখবে আর তখন শ্রাবণীর current status জানতে পারবে। শ্রাবণী আসলে চেয়েছিল অর্ক যেন spontaneously তার কাছে ফেরে, কোনো sad baggage ছাড়া, শুধু ভালোবাসার টানে। শ্রাবণী নেমে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে একবার মেট্রোর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল, waiting ফর অর্ক টু মেক হিজ নেক্সট মুভ।